রাজধানীর ফার্মগেটে একটি পুলিশ বক্সে প্রশাসনের নাকের ডগায় স্বঘোষিত জামানার ইমাম মোহাম্মদ বায়েজিদ খান পন্নীর বিভিন্ন লেখাসহ ছবি সাঁটানো দেখা গেলেও গণমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ার আগেই গতকাল তা সরিয়ে ফেলা হয়।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখনো রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কালোতালিকাভুক্ত এ সংগঠনটির পত্রিকা বিক্রি ও বিলি হচ্ছে। বিশেষ করে পুরান ঢাকার শহিদনগর এলাকায় নারীরা পাঁচ টাকা মূল্যে এই পত্রিকা বিক্রি করেন। যারা এই পত্রিকা বিক্রি করেন তারাও এই সংগঠনের কর্মী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী (হুজি), জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি) ও শাহাদাত-ই-আল হিকমা নামের চারটি জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়। এর পরও দেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় ২০০৯ সালের প্রথমদিকে দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা হিযবুত তাওহীদ ও হিযবুত তাহরিরসহ আরো আটটি সংগঠনকে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে কালোতালিকাভুক্ত করে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পেশ করে। হিযবুত তাওহীদ ছাড়াও তালিকাভুক্ত অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলো হচ্ছেÑউলামা আঞ্জুমান আল বাইয়্যিনাত, ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (আইডিপি), ইসলামী সমাজ, তৌহিদ ট্রাস্ট, তা-আমির উদ-দ্বীন বাংলাদেশ (যে দলটিকে হিজবে আবু ওমর নামেও ডাকা হয়) এবং আল্লাহর দল।সরকারের কালোতালিকাভুক্ত উগ্রপন্থি সংগঠন হিযবুত তাওহীদের কার্যক্রম এখনো চলছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় স্বঘোষিত জামানার ইমাম মোহাম্মদ বায়েজিদ খান পন্নীর লেখা জঙ্গি তৎপরতার উসকানিমূলক বই, পত্রিকা সিডি ও লিফলেট বিক্রি এবং বিলি করছে, এই সংগঠনের কর্মীরা। প্রচারণা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ও বিভিন্ন ব্লগের মাধ্যমেও। এ ছাড়া রাজধানীর ফার্মগেটে একটি পুলিশ বক্সে বায়েজিদ খান পন্নীর বিভিন্ন লেখাসহ ছবি সাঁটানো দেখা গেলেও গণমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ার আগেই গতকাল তা সরিয়ে ফেলা হয়।