নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত হিজবুত তাওহিদ নিয়ে বর্তমান সরকারি কতটা সতর্ক তা নিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে..

হিযবুত তাহ্‌রীর বা যে কোনো সংগঠন যদি তাদের অবস্থান ব্যক্ত করতে চায় পরিস্কার করতে চায় সে সুযোগ আছে। তারা সরকারের সাথে কথা বলুক। আলোচনা করুক। আলোচনার মাধ্যমে সেটা একটা পর্যায়ে যাবে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিষিদ্ধ অবস্থায় আছে সে অবস্থায় কিন্তু কোনোভাবেই তারা প্রকাশ্যে কোনো কার্যক্রম করতে পারে না, এটি আইনবিরোধী হবে,” বলেন নাহিদ ইসলাম।হিযবুত তাহ্‌রীরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন প্রসঙ্গে নূর খান লিটন বলেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি চান না কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ থাকুক। তবে এ ধরনের সংগঠনকে ঘিরে সমাজে একটা উদ্বেগ কাজ করে সেটিও উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশে এ ধরনের সংগঠনগুলো যখন সামনে চলে আসার চেষ্টা করে সেটাতো অবশ্যই এলার্মিং। কারণ তাদেরকে তো আমরা প্রকাশ্য রাজনীতিতে সেইভাবে দেখিনি। শুরুর থেকেই হয় তাদের চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে নাহলে নিজেরাই একধরনের কার্যক্রম করেছে যেটা আধা-গোপন, আধা-প্রকাশ্য এরকম,” বলেন মি. খান।
“আর বিশেষ করে তাদের পোস্টারগুলিতে সবসময় আমরা লক্ষ্য করেছি গণতন্ত্রের জায়গায় অন্যান্য শব্দ প্রতিস্থাপন করা। নিষিদ্ধ করার আগে এবং পরে আমি দেখেছি অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। তো এই দিকগুলিও আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।”আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর থেকে গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে হিযবুত তাহ্‌রীরকে ‘নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করা হতো। সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে মিডিয়ার সামনে জঙ্গী হিসেবে উপস্থাপন করা ও ট্যাগ দেয়া হতো।আওয়ামী লীগ সরকারের জঙ্গীবাদ ইস্যুকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার একটা প্রবণতা ছিল বলে মনে করেন অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন তাদের সরকারও সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর থাকবে।“আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময় জঙ্গীবাদকে ইস্যু করে আবার অনেক নিরপরাধ ব্যক্তিকেও শাস্তি দেয়া হয়েছে। গত রেজিম আসলে জঙ্গীবাদ ইস্যু করে একটা নিজেদের ক্ষমতা থাকার একটা ন্যায্যতা সবসময় রেখেছে,” বলেন নাহিদ ইসলাম।“তারা (আওয়ামী লীগ) চলে গেলে এখানে জঙ্গীবাদ বেড়ে যাবে তো এই স্পর্ষকাতর বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে। তবে আমরা অবশ্যই কোনো ধরনের জঙ্গী কার্যক্রম, সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমকে প্রশ্রয় দেবো না।”