ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গোলটেবিল বৈঠক, সভা-সেমিনারের আয়োজনের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে। এছাড়াও সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সময় আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।যদিও হেযবুত তওহীদ জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং অপ-রাজনীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে বলে নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়েছে কিন্তু বিভিন্ন সময় এই দলের কর্মসূচি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ২০০৮ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় কালো তালিকাভুক্ত হয় সংগঠনটি ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংগঠনটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে চিঠি জারি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ক সতর্কতা জারি করে সংগঠন ও এর অঙ্গ সংগঠনের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলে। ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নিশ্চিত করেন হেযবুত তওহীদসহ আরো কয়েকটি দল কালো তালিকাভুক্ত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জমা হয়েছে।বিভিন্ন সময় সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার কথাও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা যায়।বাংলাদেশকে একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক জনবান্ধব দেশে পরিণত করাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রশ্ন হলো এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করবে কে? আরও বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই ধর্মীয় উগ্রবাদের কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ যে নেতিবাচক পরিচিতি পাচ্ছে সে বিষয়ে কি আমরা অবগত বা চিন্তিত? সমাজ, রাষ্ট্র বা পরিবার, কোনো জায়গা থেকেই এ বিষয়ে কি উদ্বেগ লক্ষ্য করা যায়? যায় না। এটাও বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে দিন দিন। জঙ্গিবাদের নেশায় হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে সাধারন জনগনকে এসব কাজে লাগাতে নিত্য নতুন ফন্দি আটছে তারা।
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে টার্গেট করে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করার জন্য উস্কানিমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড করছে তারা