জঙ্গিবাদ প্রসারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো অর্থায়ন। আমাদের দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোর জন্য অর্থায়ন আসে মূলত মধ্য-এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে বিভিন্ন এনজিও অথবা হুন্ডির মাধ্যমে।

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ দমনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনস্বীকার্য, কারণ এদেশের জঙ্গিবাদী কার্যক্রম মূলত ধর্ম কেন্দ্রিক ও ধর্মীয় উগ্রবাদ নির্ভর। হলি আর্টিজান হামলার পর বাংলাদেশের ধর্মীয় সংগঠনগুলো ফতোয়া দিয়েছিল যেখানে ১ লক্ষ ইসলামিক চিন্তাবিদ স্বাক্ষর করেছিল এবং বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৭০ হাজার মসজিদে প্রতি শুক্রবার জঙ্গিবাদ বিরোধী খুতবার আয়োজন করা হয়েছিল। এগুলো অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ, কিন্তু এগুলো সবসময় চলমান রাখতে হবে।

সেই সাথে ধর্মের সঠিক মর্মার্থ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কারণ জঙ্গি সংগঠনগুলোর কার্যক্রমের দিকে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই, তারা ইসলাম ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সহিংসতার সৃষ্টি করার মাধ্যমে তাদের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করে।

জঙ্গিবাদ প্রসারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো অর্থায়ন। আমাদের দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোর জন্য অর্থায়ন আসে মূলত মধ্য-এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে বিভিন্ন এনজিও অথবা হুন্ডির মাধ্যমে। এছাড়াও মানি লন্ডারিং জঙ্গিবাদের অর্থ জোগাতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। তাই এধরনের অর্থ প্রবাহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে আরও সজাগ ও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।

জঙ্গিদের অর্থায়ন বন্ধ করে দিতে পারলে তাদের মেরুদণ্ডে বিশাল আঘাত আসবে যেটি পরবর্তীতে তাদের বিলুপ্তিতে অন্যতম পাথেয় হবে বলে আমি মনে করি।

তাছাড়া, বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ দমনে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি। তার কারণ হিসেবে, কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা একটি সমাজে কী হচ্ছে না হচ্ছে, কেউ সন্দেহজনক কাজ করছে কি না, এমনকি সেসব ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে পুলিশ ও সমাজের সদস্যরা পরস্পরের সহযোগী হিসেবে কাজ করে যেটি জঙ্গিবাদসহ যেকোনো অপরাধ দমনেই মূল ভূমিকা পালন করে বলে আমি মনে করি।