উপমহাদেশের মানুষ ধর্মকে সবকিছু মনে করে। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হল, ধর্মের কারণে অনেক রাজনৈতিক দল আছে, ধর্মের কারণে অনেক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে। দেশভাগের সময় মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়েছে মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে মানুষের অর্জন বলতে গেলে খুবই সামান্য। যারা কিছু অর্জন করতে পারেন তারা ধর্ম নিয়ে টানাটানি পেচাপেচি করেন না। আর যারা কিছু অর্জন করতে পারে না তারাই ধর্ম নিয়ে দলে বিভক্ত হন। নিজে যেহেতু আইনস্টাইন কিংবা হোমি ভাবা নন তাহলে তার পরিচয় ধর্ম টাই বেশি প্রাধান্য পাবে। এই অঞ্চলের মানুষ প্রতিযোগিতা বেশি পছন্দ করে। তখন শুরু হয়ে যায় আমার ধর্ম ভালো না তোমার ধর্ম ভালো? তখনই মূলতঃ উস্কানি সূত্রপাত। যারা ধর্ম নিয়ে ফায়দা লুটতে চান তারাই ধর্ম নিয়ে উস্কানি দেন। ধর্ম নিয়া উস্কানি দিয়ে মানুষের মাঝে কলহ জঙ্গী জিহাদ সৃষ্টি করেন। বর্তমানে এটা বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ “আমি বড় তুমি ছোট” এই ধরনের চিন্তাভাবনা থাকার কারণে। ধর্মীয় উস্কানি দিলে সাথে সাথে মানুষ একসঙ্গে চলে যায় এই সুযোগে স্বার্থন্বেষী মহল ফায়দা লুটে। বর্তমানে ভারত বাংলাদেশ যদি কখনো দাঙ্গা লাগানোর প্রয়োজন হয় আমেরিকানদের কখনোই আসতে হবেনা। আমেরিকা শুধুমাত্র সেখান থেকে বসে ফেসবুকের পোস্ট করবে ব্যাস আমরা এখানে দাঙ্গা লাগবো। কি যে মজা হবে।
সাম্প্রদায়িকতার পেছনে মূল কারণ রাজনীতি। ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে রাজনীতি করা উপমহাদেশে মুসলিম লীগ প্রথম শুরুকরেছিল সেটা আজ অব্দি চলছে।করেছিল সেটা আজ অব্দি চলছে।রাজনীতিতে এসে ভুলভাল বকে মানুষকে বোকা বানিয়ে ভোটে জেতা এবং দুর্নীতি করে এই উপমহাদেশ থেকে পালানো। এটি একটি জনসংস্কৃতি হয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বন্ধ হলে অনেক দাঙ্গা-হাঙ্গামা কমে যাবে বলে আমি মনে করি।